বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর দশটি সাপ
যদিও পৃথিবীর বিষধরদের তালিকা আর তাদের বিষের তীব্রতার কাছে বাংলাদেশের বিষধর সাপদের কিছু মনে করা হয়না তবুও, বাংলাদেশে মজুদ থাকা বিষধর সাপদের অবহেলা করা যায়না!
বর্তমানে বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৯৩ বর্গকিলোমিটারের ছোট দেশ হলেও এখানে বিকশিত হয়েছে ৯৪ প্রজাতির সাপ। এদের মধ্যে ২৬টি প্রজাতি মারণ বিষের অধিকারী। আবার ২৬টির মধ্যে ২০টি মারাত্মক বিষধর বাকিগুলোর মধ্যে অন্তত ৬টি প্রজাতির সাপ খুব ভালোভাবে কামড়ালে মানুষ মারা পড়বে।
বাংলাদেশে এতগুলো বিষধর সাপ রয়েছে, শুনে অনেকেই নিশ্চয়ই চমকে উঠবেন। একটু খবর নিলেই দেখতে পাবেন, বিষয়টি আবার তত ভয়ংকর নয়। ২৬ প্রজাতির মারণ বিষের সাপের মধ্যে ১২ প্রজাতিই হচ্ছে সামুদ্রিক সাপ। যাদের সাথে ভুলে হয়তোবা আপনার দেখা হতে পারে মানে যদি আপনি কখনো সমুদ্রে যান তাহলে। বাকি ১৪টি প্রজাতি ডাঙার সাপ। বন্ধুরা আজ আমরা এই ২৬টি সাপের মধ্য থেকে সবচেয়ে মারাত্মক দশটি বিষধর সাপের কথা জানবো, যারা কিনা সোবল দেওয়ার পর এন্টি ভেনম না নিলে মৃত্যু অনিবার্য! কিছুকিছু সাপ রয়েছে যারা কামড়ালে এন্টি ভেনমেও কোন লাভ হয়না। এখনো বাংলাদেশের কোন দশটি সাপ বেশি মারাত্মক সে বিষয়ে কেউ লেখালেখি করেনি বাংলা ভাষায়। সাপ নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা করার ফলস্বরূপ এই দুঃসাহস দেখালাম। কাজেই ভুল ত্রুটি মার্জনার চোখে দেখবেন আশাকরি।
বন্ধুরা লেখাটি খুবই ইনফরমেটিভ হতে চলেছে তাই ধৈর্য্য ধরে পড়তে থাকুন। যদি মনেকরেন, নাহ আমার ধৈর্য্যে কুলাবেনা তাহলে তাদের জন্যে এই ভিডিওটি:
কেউটে সাপ (Naja kaouthia)
কেউটে সাপ (Naja kaouthia)
কেউটে সাপ (Naja kaouthia) |
কেউটে বাংলাদেশের বিষধরদের প্রধান সাড়ির ক্ষ্যাপটে মারাত্মক বিষধর সাপ! বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা পড়ে কালকেউটের কামড়ে। বাংলাদেশের সর্বত্র এই সাপ পাওয়া যায়। দক্ষিণবঙ্গে কেউটে, বরিশালে কালিঞ্জিরি বা কালিজাইত, চট্টগ্রাম হানাস, উত্তরে জাতিসাপ নামের এই সাপ লম্বায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। কেউটে সাপ অন্যান্য ছোট সাপ খায়। এছাড়াও ব্যাঙ, বাদুড়, মুরগীর বাচ্চা, মাছ ইত্যাদিও কেউটের প্রিয় খাবার।
এরা জলে অথবা জলের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে। এরা খুব সুন্দর ফনা ধরে যাকে ভয়ংকর সুন্দরও বলা যায়। বাচ্চা কেউটের ফনা পটাটো চিপসের মতো লাগে। বন্ধুরা ভয়ঙ্কর কথা তো এই, বাচ্চা কেউটে প্রাপ্তবয়স্ক কেউটের চেয়ে তিনগুণ বেশি বিষাক্ত!
এদের বিষে অতিমাত্রায় নিউরোটক্সিন থাকায় কামড়ালে ও বিষ প্রয়োগ করলে মানুষ বাঁচানো প্রায় অসম্ভব। এরা ড্রাইবাইট খুবই কম দেয়। কেউটে প্রজাতির যে কয়টি সাপ বাংলাদেশে দেখা যায় এর প্রত্যেকটিই ভয়ংকর বিষধর প্রজাতির! প্রতিবছরই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই সাপের কামড়ে শতশত মানুষের মৃত্যু হয়!
.
পদ্ম গোখরা, খয়ে গোখরা, খরিশ ইলপিডি গোত্রের একটি অতিপরিচিত সাপের নাম। কেউটের মতো সাপুড়েদের কাছে এদের বিস্তর দেখা যায়। এরা প্রধানত শুকনো এলাকা পছন্দ করে। বাড়ির কাছে ইটের পাঁজা, পুরোনো বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, গাছের কোটর ও ইঁদুরের গর্ত পেলে এরা সহজে সেখানে বসতি গড়ে। গোখড়ারই একটি সর্বজন পরিচিত উপপ্রজাতি খয়ে গোখড়া।
এরাও অত্যন্ত বিষধর! গোখড়া ভোরবেলা ও সন্ধ্যারাতে বেশি তৎপর থাকে। দিনের বেলায় তেমন বাইরেই আসে না। কেউটের মতো এরাও অন্যান্য সাপ খেতে পছন্দ করে। নিউরোটক্সিন বিষের অধিকারী গোখরা লম্বায় চার–পাঁচ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
এরা কামড়ানোর পর দ্রুত হসপিটালে না নিলে ২-৩ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু অবধারিত! কিছুক্ষেত্রে হসপিটালে নিলেও কোন লাভ হয়না। এর কারণ হিসেবে বলা যায় ওঝার হাতুড়ে ঝারফুক। বাংলাদেশ ও ভারতের অধিকাংশ সাপের কামড়ে মৃত্যুর কারণ ওঝা-বদ্যি। এরাই সাপে কাটা রোগীকে ঝারফুক এর নামে মেরে ফেলে!
গোখরা (Cobra) |
এরাও অত্যন্ত বিষধর! গোখড়া ভোরবেলা ও সন্ধ্যারাতে বেশি তৎপর থাকে। দিনের বেলায় তেমন বাইরেই আসে না। কেউটের মতো এরাও অন্যান্য সাপ খেতে পছন্দ করে। নিউরোটক্সিন বিষের অধিকারী গোখরা লম্বায় চার–পাঁচ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
গোখরা (Cobra) 2 |
এরা কামড়ানোর পর দ্রুত হসপিটালে না নিলে ২-৩ ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু অবধারিত! কিছুক্ষেত্রে হসপিটালে নিলেও কোন লাভ হয়না। এর কারণ হিসেবে বলা যায় ওঝার হাতুড়ে ঝারফুক। বাংলাদেশ ও ভারতের অধিকাংশ সাপের কামড়ে মৃত্যুর কারণ ওঝা-বদ্যি। এরাই সাপে কাটা রোগীকে ঝারফুক এর নামে মেরে ফেলে!
.
গোখরা, কেউটেদের চেয়েও কড়া বিষের অধিকারী কালাচ সাপের তিনটি উপপ্রজাতি অনেক মানুষের জীবন ধ্বংসের কারণ। যদিও এটি কেউটেদেরই একটি উপপ্রজাতি তবুও এরা ফনা ধরতে পারেনা। এটি
আড়াই থেকে তিন ফুট লম্বাও হয়। দেশে মারা পড়া ২০ শতাংশ মানুষ এদের কামড়ে মারা যায়। পশ্চিমবঙ্গে এর কামড়ে মৃত্যুর হার আরো বেশি হকে পারে। কালাচ সাপ এমনই এক সাপ যাকে বলা যায় নীরব ঘাতক! রাতে এরা চলে আসে বিছানায়, আর কামড় বসিয়ে চলে যায়। যাকে কামড় বসায় সে টেরও পায়না। আর বিষের উপসর্গও তখন শুরু হয়না। সকালে শুরু হয় উপসর্গ, আর তখন কিনা বিষ সারা শরীরে ছড়িয়ে পরে ফলে কিছু আর করারও থাকেনা। কালাচ কে ইংরেজীতে বলা হয় কমন ক্রেইট।
কালাচেরই আরেকটি প্রজাতি ওয়ালস ক্রেইট। এরা অত্যন্ত ভয়ানক এক সাপ। আরো ভয়ংকর হলো, কালাচ সাপের এন্টি ভেনম সর্বত্র পাওয়া গেলেও ওয়ালস ক্রেইটের এন্টি ভেনম বাংলাদেশের কোথাও পাওয়া যায়না। ফলে ওয়ালস ক্রেইট কামড়ালে মৃত্যু অনিবার্য!
ওয়ালস ক্রেইট |
কালাচেরই আরেকটি প্রজাতি ওয়ালস ক্রেইট। এরা অত্যন্ত ভয়ানক এক সাপ। আরো ভয়ংকর হলো, কালাচ সাপের এন্টি ভেনম সর্বত্র পাওয়া গেলেও ওয়ালস ক্রেইটের এন্টি ভেনম বাংলাদেশের কোথাও পাওয়া যায়না। ফলে ওয়ালস ক্রেইট কামড়ালে মৃত্যু অনিবার্য!
.
শঙ্খিনীও কালাচ কেউটেদের একটি গোত্র। ফনাহীন সাপেদের মধ্যে সাপুড়েরা এদেরই শুধু কাছে রাখেন। এটি অত্যন্ত সুন্দর এক সাপ, গায়ে হলুদ কালো ছোপ এর ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য প্রকাশ করে। সাপটি মারাত্মক বিষধর কিন্তু শান্ত স্বভাবের। একে চরম পর্যায়ের আঘাত না করলে কাউকে কামড়ায় না। বন্ধুরা মজার ব্যাপার হলো শঙ্খীনি মানুষের উপকার করে। এরা কমনক্রেইট বা কালাচ সাপ খায়, আর কালাচ সাপ হলো সেই ধূর্ত যারা মানুষকে নীরবে কামড়ে মেরে ফেলে।
.
রাসেল ভাইপার (Russell Viper)
ভাইপারিডি পরিবারভুক্ত একটি অন্যতম বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার । এর বাংলা নাম চন্দ্রবোড়া। মূলত কৃষকের ধান ক্ষেত ও ইঁদুরের গর্তে এদের দেখা মেলে। এই সাপ বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষাক্ত না হলেও এর ক্ষ্যাপটে স্বাভাব ও লম্বা লম্বা বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন এর দ্বারা। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর মৃত্যু হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভয়ে হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর কারণ। রাসেল ভাইপার কামড়ানোর ৭২ ঘন্টা অর্থাৎ ৩দিন পর মানুষের মৃত্যু হয়। রাসেল ভাইপারের দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু। প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার; দেহের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। রাসেল ভাইপার নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত পরিবেশে এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা নিশাচর, এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ খায়।
রাসেল ভাইপার বাংলাদেশের দুর্লভ আবাসিক সাপ। এটি সব বিভাগে সচরাচর এবং ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলে এই সাপ বেশি পাওয়া যায়। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও পটুয়াখালীর দু-একটা এলাকায় এবং নদীয়া জেলাসহ পশ্চিমবঙ্গের অংশে এছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, চীনের দক্ষিণাংশ, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, বার্মা ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়।
.
বাংলায় কালো- বলয়ী সামুদ্রিক কেউটে Elapidae পরিবারের ঘাঁড়হীন মাথা চিকন স্থুল এই সাপটি বাংলাদেশের প্রবাল সামুদ্রিক অঞ্চলের সাপ। এই সাপ বাংলাদেশের অন্যতম বিষাক্ত সাপ। এরা খুবই শান্ত প্রকৃতির। এরা সাধারণত বেশিরভাগ সময়ই সমুদ্রের নিচে থাকে। এদের পাওয়া যায় প্রবাল সামুদ্রিক অঞ্চল সেন্ট মার্টিনের উষ্ণ জলে। ব্ল্যাক ব্যান্নেড সী ক্রেইট ইয়েলো গোটফিশের সাথে জোটবেঁধে মাছ শিকার করে। শিকারকে প্রথমে এক সোবলে প্যারালাইজড করে দেয়, প্যারালাইজড হলে শিকার সোজা গিলে ফেলে। এই সাপ এতটাই শান্ত যে, এখনো মানুষকে কামড়ানোর রেকর্ড নেই। তবে হ্যাঁ যখন এরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে থাকে তখন বসিয়ে দিতে পারে নিউরোটক্সিন বিষ সমৃদ্ধ মারাত্মক মরণঘাতি কামড়! যে কামড়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভবলীলা সাঙ্গ হতে পারে যে কারোরই!
হলুদ-পেট সামুদ্রিক সাপ পেলামিস প্লাটারাস পরিবারের এই সাপ প্রায়ই সমুদ্রতটে বালুর উপর দেখতে পাওয়া যায় আবার কখনো কখনো বাংলাদেশের সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পরে। সাইজে ছোট বিধায় জেলেরা একে ততটা পাত্তা দেয়না। জেলেরা সাধারণত এদের লেজ ধরে দু একবার ঘুরিয়ে সজোরে নিক্ষেপ করে দূরে কোথাও। অথচ তারা যদি জানতো ইয়েলো বেলি সি স্নেকের বিষ কেউটে বা কোবরার বিষের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি মারাত্মক তাহলে হয়তো ভুলেও এমনটি করতোনা। এরা
Neurotoxin বিষ সমৃদ্ধ! একবার যদি এই শান্ত সাপটি রেগেমেগে কাউকে কামড় বসাতেই পারে তবে তার ভবলীলা সাঙ্গ হবে মিনিট বিশেকের মধ্যেই!
.
(Ophiophagus hannah), রাজ গোখরা, শংঙ্খচূড় Elapidae পরিবারের এই সাপ মারাত্মক Neurotoxin বিষ সমৃদ্ধ। এর কামড়ে নাকি হাতিও মারা যায়! কিং কোবরা কে বলাহয় বিষধর সাপদের রাজা। এরা আকারে ১২-১৮ ফুট হয়।
বন্ধুরা একটি ভালো খবর হলো বাংলাদেশের লোকালয় এদের দেখা মিলবেনা, এই সাপের দেখা মেলে সুন্দরবনে। বাংলাদেশের কোন মানুষ কিং কোবরার কামড়ে মারা গেছে এমন রেকর্ড নেই । তবে হ্যাঁ, এরা লোকালয়েও আসে। আর আপনি যদি বারবার কিং কোবরাকে বিরক্ত করেন তবে এর ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে আপনার শুধু ওর ঘাড় ফেরানোর সময়টুকু অপেক্ষা করতে হবে।
King cobra |
এদের কোবরা বললেও এরা আসলে কোবরার কোন জাত নয় তবে হ্যাঁ এরা কোবরা আর কেউটেদের মতো সাপ খেতে ভালোবাসে। এরা এতটাই সাপ খেতে ভালোবাসে যে মাঝেমাঝে নিজের ছোট সব প্রজাতিরও খেয়ে ফেলে এমনকি ডিম পারার পর স্ত্রী সাপটি পুরুষ সাপটিকেই খেয়ে ফেলে!
.
ইয়েলো লিপ্ড সী স্নেক-Yellow-lipped sea snake (Laticauda colubrina) হলুদ- মুখো সামুদ্রিক সাপ।
এরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই সমুদ্রের নিচে থাকে। যখন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তখনই উপরে উঠে আসে। এদের প্রাপ্তবয়স্করা প্রায় সবসময়ই পানির নিচে থাকে। ইয়েলো লিপড সি স্নেকের একটি পুরুষ লম্বায় হয় সর্বোচ্চ পাঁচফুট এক ইঞ্চি আর ফিমেল সাপ মেলদের তুলনায় বড় হয়। একটা ফিমেল সাপ লম্বায় হয় পাঁচফুট সাতইঞ্চি।
ইয়েলো লিপ্ড সী স্নেক |
এরা দিনের বেশিরভাগ সময়ই সমুদ্রের নিচে থাকে। যখন বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তখনই উপরে উঠে আসে। এদের প্রাপ্তবয়স্করা প্রায় সবসময়ই পানির নিচে থাকে। ইয়েলো লিপড সি স্নেকের একটি পুরুষ লম্বায় হয় সর্বোচ্চ পাঁচফুট এক ইঞ্চি আর ফিমেল সাপ মেলদের তুলনায় বড় হয়। একটা ফিমেল সাপ লম্বায় হয় পাঁচফুট সাতইঞ্চি।
এই সাপটির রয়েছে হাইলি নিউরোটক্সিন বিষ যা সাপটি তার শিকার ধরতে ব্যবহার করে। বন্ধুরা সাপটি মোটেই আক্রমনাত্বক নয়, বরংচ এরা মানুষদের এড়িয়ে চলে। তবে যদি আপনি এটাকে দেখেই লাঠি নিয়ে তেড়ে যান তবেই আপনার ভবলীলা সাঙ্গ হতে পারে!
.
এরা অন্যান্য সি স্নেকের মতো মোটেই শান্ত নয় বরংচ খুবই বদমেজাজি আর আক্রমনাত্বক এরা! পৃথিবীতে এ পর্যন্ত সমুদ্রে যতগুলো সাপের কামড়ের রেকর্ড হয়েছে তার মধ্যে ৫০% এই সাপের দ্বারাই হয়েছে! এক কামড়ে এই সাপ ১.৫ মিলিগ্রাম মারাত্মক প্রাণঘাতি হাইলা নিউরোটক্সিন (Neurotoxin) ও মাইওটক্সিন (Miotoxin) বিষ ঢেলে দেয়! এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার ১০০% কেননা এই সাপের বিষের কোন এন্টি ভেনম নেই!
.
এই দশটি সাপ বাংলাদেশের প্রথম সাড়ির বিষধর সাপ। এর বাইরেও অনেক বিষধর সাপ রয়েছে তবে কিনা সে সাপগুলো এই ১০টি সাপের কাছে কিছুই নয়। সাপ নিয়ে বিস্তর পড়াশুনা করার পর এই ১০টি সাপই আমার কাছে সব থেকে বিষধর মনে হয়েছে। আপনার পরিচিত কোন বিষধর সাপের নাম বাদ গেলে কমেন্টে লিখতে পারেন। সাপ বিষয়ে বেশি আগ্রহীরা ইউটিউবে এই প্লে লিস্টের ভিডিওগুলো অফলাইন ডাউনলোড করে রাখতে পারেন: http://bit.ly/317jpDf
অনেকটা সময় নষ্ট করলাম। বেশ বড় হয়ে গেছে লেখাটা। আর বাড়াচ্ছিনা। বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সবসময়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর দশটি সাপ!
Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor
on
৬:৩৬ AM
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
Good books