বুক রিভিউ: ঘোলাজল | সৈনিক কাইজার

 


বিপ্লবদের গ্রামের নাম মহিষখোলা। চিত্রা নদীর কুল ঘেষে অর্ধবৃত্তের ন্যায় গ্রামটা। অর্ধবৃত্তের দুই প্রান্ত দুটি খাড়া পূর্ব থেকে পশ্চিম বরাবর সোজা মোটা যে রাস্তাটা গেছে তার নাম বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধের দক্ষিণে বড়ো ড্রেন আর দক্ষিণে ছোটোখাটো বিল যার নাম ডোব। ড্রেনের গভীরতা অনেক। শাপলা তোলার সময় দেখা যায় একটা শাপলার দৈর্ঘ্য দুই থেকে সাত হাত লম্বা এবং বেশ মোটা, মিষ্টি। ড্রেনের পানিতে সরকারিভাবে মাছ চাষ করা হয়। বেড়িবাঁধের উত্তর পাশে বিপ্লবদের বাড়ি। বাড়ির পিছনেই বিশাল আকৃতির বিল। ধানের মৌশুমে ধান, পাটের মৌশুমে পাট। তাছাড়া অন্যান্য ফসলাদিও চাষাবাদ করা হয়।

কই সে কই? খেকিয়ে উঠল ওহাব মিঞা। বিকেলের দিকে জামান খুলনা থেকে ফিরে এসে মা আসমা খাতুনের কাছে বায়না ধরেছিল পিঠা খাওয়ার। মা ছেলের আবদার মেটাতে পিঠা বানিয়ে দিয়েছে। বাবা ফিরে এসে ধমকা- ধমকি শুরু করেছে এদিকে জামানের খেয়াল নেই সে একনাগাড়ে পিঠা খেয়েই চলেছে।

কী হইছে তোমার? ছাওয়ালডা এট্টু আগে বাড়িতে আইছে আর তুমি বাাড়ি মাথায় তুলিছো বললো আসমা।

কই তোমার নবাবজাদাকে ডাকো। তিনি নাকি এই অজ পাড়াগাঁয়ে থেকে কিছু করবেন। তো তিনি কি করবেন এটা জানতে পারি- মুখ বাঁকিয়ে বললো ওহাব মিঞা।

মাথা থেকে ঘাস নামাও কচ্ছি। আর জোয়াল রেখে গরু বাইন্ধে আসো তারপর ছাওয়ালডার সাথে কথা কও।

থাকপো না বাড়িতে। থাকো তোমরা তোমাদের বাড়িঘর নিয়ে।

ব্যাগ গোছানোই ছিল, খুলনা থেকে আসার পর ব্যাগ খোলা হয়নি। রান্নাঘর থেকে রাগে গরগর করতে করতে বেরিয়ে এলো জামান। মা আসমা খাতুন ছেলেকে ঠেকাতে গেল।

যাসনে বাপ।



বুক রিভিউ: ঘোলাজল | সৈনিক কাইজার বুক রিভিউ: ঘোলাজল  | সৈনিক কাইজার Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor on ৬:২৬ AM Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Good books

Blogger দ্বারা পরিচালিত.