দ্য ল অব সাকসেস
Download Link: Google Drive, Mediafire, Meganz
সাফল্যের নিয়মাবলী সমূহের সাধারণ পরিচিতি-
গ্রন্থটি নিবেদিত যাদের প্রতি, তারা হলেন এন্ড্রু কার্নেগী, তিনি পাঠ্যক্রমটি লিখতে পরামর্শ দিয়েছেন, হেনরি ফোর্ড, যার বিস্ময়কর অর্জন-এর ফলে এ পাঠক্রমের ১৬টি বিভাগেরেই ভিত্তি রচনা হয়েছিল এবং টমাস আলভা এডিসন, সংস্থার ব্যবসায়ীক সহযোগী এডউইন সি বার্নেস, ১৫ বছরের বেশি ব্যক্তিগত সম্পর্ক-এ লেখককে অনেক বিচিত্র দুঃখ-দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়েছিল এবং পাঠক্রমটি গঠন করাকালীন অনেক সামরিক পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল।কে বলেছে এটা করা যেত না?
এবং তার এমন কি বৃহৎ বিজয় ছিল, যার ফলে তিনি অন্যদেরকে সূষ্ঠভাবে বিচার করার গুণে গুণান্বিত ছিলেন ।
সাফল্য এমনি এমনি আসে না। সাফল্য লাভ করতে হলে কিছু গুণাবলি থাকতে হয়। কিছু আইন বিধি মেনে চলতে হয়, কিছু ভালো শিক্ষা অর্জন করতে হয়। কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। সবকিছু মিলেই একজন মানুষের জীবনে সাফল্য এসে ধরা দেয়।
লেখক এই বইতে এমন কিছু সাফল্যের কথা বলেছেন পাঠকদের জন্য। যা জানতে বইটি আপনার জন্য সংগ্রহ করতে পারেন।
নেপোলিয়ন হিল
আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করা অলিভার নেপোলিয়ন হিল আত্মোন্নয়নধর্মী রচনা লেখকদের মাঝে প্রথমদিককার একজন। ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সফলতা লাভের বিভিন্ন দিক লেখনীতে তুলে এনে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সফল আত্মোন্নয়নমূলক লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে হিলের। নেপোলিয়ন হিলের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের সাউথইস্ট ভার্জিনিয়ায় ২৬ অক্টোবর, ১৮৮৩ সালে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শেষ পর্যন্ত ল'স্কুলের পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি তিনি। এর আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সাথে, সেই ১৩ বছর বয়স থেকে। ১৯০৮ সালে এন্ড্রু কার্নেগীর সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে হিলের জীবনে আসে বিশাল পালাবদল। তখনকার সময়ের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পপতি কার্নেগী তাকে পরামর্শ দেন ধনী ও সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিতে ও তাদের সাফল্যের সূত্র সম্পর্কে জানতে। এরপর তিনি বিশ্ববিখ্যাত সফল ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন। এই তালিকায় আছেন হেনরি ফোর্ড, আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলসহ আরো অনেকে। এমন ৪৫টি সাক্ষাৎকারের লব্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি প্রকাশ করেন তাঁর প্রথম রচনা 'দ্য ল অব সাকসেস'। এই বইয়ে তিনি সাফল্যের সূত্রকে ব্যখ্যা করেছেন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, পুঁজিবাদের সমন্বয়ে মূর্ত দর্শন দিয়ে। নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ সাফল্যগাঁথার চেয়ে সাফল্যের পেছনের সূত্র সহজীকরণের পাথেয় হিসেবে অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিখ্যাত এই লেখকের চরিত্রের কিছু রহস্যময় বৈশিষ্ট্য মানুষকে ভাবিয়েছেও বটে। তিনি দাবি করতেন, আত্মাদের সাথে তাঁর যোগাযোগ আছে, তাঁকে দেয় আধ্যাত্মিক জ্ঞান, সাফল্যের মন্ত্র। হিল এই বিষয়টি তাঁর ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বই 'গ্রো রিচ(!) উইথ পিস অব মাইন্ড' এ খোলাখুলিভাবে বর্ণনা করেছেন। বর্তমানে তাঁর জীবনের অজানা কিছু অধ্যায় উঠে এসেছে গবেষকদের চোখে। তবে নেপোলিয়ন হিল এর বই সমগ্র বিতর্কিত ব্যক্তিজীবনের প্রভাবেও জনপ্রিয়তা হারায়নি। তাঁর রচিত 'থিংক এন্ড গ্রো রিচ' সর্বকালের সেরা আত্মোন্নয়নমূলক দশটি বই এর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত নেপোলিয়ন হিল এর বই সমূহ হলো 'অ্যাটিটিউড মেন্টাল পজিটিভা', 'দ্য মাস্টার কি টু রিচেস', 'সাকসেস হ্যাবিটস' ইত্যাদি। বিতর্কিত চরিত্রের এই লেখক ১৯৭০ সালের ৮ নভেম্বর বেশ রহস্যজনকভাবে মারা যান। ধারণা করা হয়, তিনি পারকিনসন্স সিন্ড্রোমে ভুগছিলেন।
দ্য ল অব সাকসেস pdf
Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor
on
১১:২৫ AM
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
Good books