আফ্রিকার পাঁচটি অদ্ভুত হাস্যকর রীতিনীতি

আফ্রিকার পাঁচটি অদ্ভুত হাস্যকর রীতিনীতি 


প্রত্যেকটা জাতীরই থাকে নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতি। কিছু কিছু জাতীর রীতিনীতি এতটাই অদ্ভুদ যে কারো কারো সংস্কৃতিক রীতিনীতি দেখে হতে হয় হতবাক, আবার কোন কোন জাতীর রীতিনীতি চরম হাসির খোরাকও বটে।

আফ্রিকা সবসময়ই আমাদের চোখে অদ্ভুত তার রীতিনীতির কারণেই। আফ্রিকার কিছু রীতিনীতি পুরো পৃথিবীর জানা, তবে কিছু রীতিনীতি আমাদের অজানা। আফ্রিকার কিছু জাতী রয়েছে যারা গোত্রীয় ভাবে এমন কিছু কঠিন নিয়ম মেনে চলে যা এই আধুনিক বিশ্বে নজিরবিহীন! বন্ধুরা আজ আমরা আফ্রিকার এমন পাঁচটি অদ্ভুত নিয়মের কথা জানবো যা আপনাকে একই সাথে অবাক ও হাসাতে বাধ্য করবে। সো বন্ধুরা কথা না বলে চলুন দেখে নেয়া যাক আফ্রিবার সেই পাঁচটি অদ্ভুত নিয়মনীতি....
আর্টিকেল না পড়তে মনে চাইলে ভিডিওতে দেখে নিন: ভিডিওটি দেখার আগে চ্যানেলটা সাবসক্রাইব করে নিন Click here to SUBSCLRIBE

বাংইয়াংকোলদের পৌরষত্ব টেস্ট

লিজেন্ডরা হয়তো বুঝে গেছেন এই রীতিটি যৌনতা রিলেটেড! বন্ধুরা অাফ্রিকার বাংইয়াংকোল নামক একটি জাতী রয়েছে যারা বিয়ের সময় ভাইয়ের বা বোনের মেয়েকে যৌনশিক্ষা দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে সাধারণত বড় ভাইয়ের স্ত্রীরা এইসব শিক্ষা দেন ননদ কে। কিন্তু আফ্রিকার চিত্র ভিন্ন। শুধু এতটুকুতে থেমে থাকলেই হতো কিন্তু বাংইয়াংকোলদের উগান্ডায় বসবাসরতরা আরো একধাপ এগিয়ে! উগান্ডায় মেয়ে পক্ষের যতজন রক্তের সম্পর্কের আন্টি রয়েছে তারা কনের সাথে মিলিত হওয়ার আগে বরের পৌরষত্ব চেক করেন। শুধু একজন আন্টি নন, কয়েকজন আন্টি মিলে এই পরীক্ষাটা করেন। অদ্ভুত আর বিচ্ছিরি শোনালেও এটাই সত্য যে, এজন্য বর কে বাসর রাতের আগের বেশ কয়েকটি রাত কাটাতে হয় কনের আন্টিদের সাথে। যদি বর আন্টিদের সাথে পারফরমেন্স ভালো করতে পারে অর্থাৎ ঐ রাতগুলোতে তাঁর পৌরষত্বের ভালোভাবে প্রমাণ দিতে পারে তবেই বর কন্যার সাথে মিলিত হতে পারবে। নতুবা বিয়ে ওখানেই ক্যানসেল!

ফুলানিদের শ্যারো নামক নতুন জামাই পিটানো উৎসব


আমাদের দেশে বিয়ে করাটা খুব সহজ, নতুন জামাইকে প্রচুর সম্মানও করা হয়। কিন্তু আফ্রিকার ফুলানি জাতীদের বেলায় এই চিত্রটা ভিন্ন। সেখানে বউ অর্জন আর নিজগোত্রে সম্মান অর্জন করতে বর কে এক কঠিন আর অদ্ভুত পরীক্ষা দিতে হয়।
আফ্রিকার বেনিনের ফুলানি জাতীর পুরুষরা খুব সহজেই বিয়ে করতে পারেনা। বিয়ে করতে গেলে জামাইকে ট্রাইবের লোকদের হাতেই আচ্ছা রকম প্যাদানি খেতে হয়! আর এই প্যাদানিটা খেতে হয় স্বয়ং বরের। বিয়ে করতে ইচ্ছুক এমন কেউ ট্রাইবের সবচেয়ে বুড়ো লোকটার হাতে চরম প্যাদানি খায়। কারণ ফুলানিদের মতে যে প্যাদানি খেয়ে সহ্য করতে পারে সেই আসল পুরুষ। এই প্যাদানির কারণে ফুলানি উপজাতীদের অনেক পুরুষ মারাও যায়! যদি প্যাদানি খেয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে তবেই তার কপালে জুটবে বউ আর সম্মান। নতুবা বিয়ে না করে শুটকি হয়ে মরে গেলেও কেউ ফিরে তাকাবে না।


 বৌ চুরির রাতের নাচ

কেমন শুনতেই অদ্ভুত ঠিক না? তবে কিনা এমনই এক অনুষ্ঠানের প্রচলন রয়েছে উত্তরপূর্ব ক্যমেরুনের ওডাবস প্রজাতিদের মধ্যে। ওডাবস প্রজাতীরা ফুলানিদের একটি উপজাতী। তাদের প্রথাগত একটি নাচের উৎসব আছে। উৎসবে ঐ ট্রাইবের শুধুমাত্র নারীরা সারা রাত নাচানাচি করে। পুরুষরা ঐ নাচের আশেপাশেও থাকতে পারবেনা। এটা সারারাত নাচানাচির উৎসব বললে ভুল হবে এটা আরো একটি উৎসব। একটা সময় রাত গভীর হয়। পুরুষরা তখন ঐ নাচে ঢোকার অনুমতি পায়। কিন্তু তা নাচার জন্য না। পুরুষরা ঐসময় তার পছন্দের নারীকে চুরি করতে নাচের মধ্যে ঢুকে পরে। বিবাহিতা হোক আর অবিবাহিতা যে কাউকে চুরি করতে পারবে পুরুষ। যদি না ঐসময় তার চুরি করা ঐ নারী তাকে প্রত্যাখ্যান করে বা স্বামী হাতে নাতে ধরে না ফেলে তাহলেই কেল্লাফতে!



চিচিওয়াদের মৃতদের অন্তষ্ট্যেক্রিয়ার উৎসব


বান্টু উপজাতীদেরই একটি সম্প্রদায় চিচিওয়া। এদের আফ্রিকার মালাউইতে দেখা যায়। এরা নিজেদের সবকিছুই বাইরের মানুষদের কাছ থেকে লুকাতে চায়। এজন্য তারা চেহারায় মাস্ক ব্যবহার করে। এই জাতী তাদের কৃষি পদ্ধতির জন্য পৃথিবীতে পরিচিত। তাদের সমাজের যেকারো মৃতদেহ সমাধিস্ত করার সময় একটি অদ্ভুত অনুষ্ঠান করে। প্রথমে মৃতের আত্মীয়েরা শবদেহটি পানি দিয়ে ধুয়ে নেয়। এরপর লাশটিকে ভয়ানক কোন স্থানে নিয়ে লাশটির গলা থেকে লম্বালম্বি ভাবে কাটা হয়। এরপর লাশটির ভিতরে পানি প্রবেশ করানো হয়। লাশটা ধৌঁত করার শেষ সময় পর্যন্ত চুঁইয়ে চুঁইয়ে পানি পরতে থাকে। এরপরই আসে ঐ জাতীর উদ্ভট নীতি! মৃতের শরীর পরিষ্কার করা ঐ পানি সংগ্রহ করে ঐ গোত্রের সবার খাবারের সাথে মেলানো হয়।



আসল মরদের পরীক্ষা

আমরা তো বিয়ে করলেই বউ পেয়ে যাই, বিয়ের পরই শুধু বউয়ের আর শ্বশুর বাড়িতে সম্মান আর সম্মান! বিয়ে করলে বাড়িতেও নিজের সম্মান একটু বৃদ্ধি পায় বৈকি এত সম্মান খেয়ে বাঙালী বরের যেন পা মাটিতেই পরেনা!
  সব ফাওফাও তাইনা? এই ফাও সম্মানটা শুধুমাত্র বাংলাদেশেই পাওয়া যেতে পারে। অাফ্রিকায় তা হবেনা! হা হা বন্ধুরা এবার আফ্রিকার এমন একটি কালচার সম্বন্ধে আমরা জানবো যা আপনাকে হতবাক করে দেবে। শুধু হতবাকই না- হাসতে হাসতে মাটিতেও গড়াগড়ি খেতে পারেন।
আফ্রিকার এই উপজাতির ছেলেরা বিয়ে করতে চাইলেই পারেনা। বিয়ে করা অত সহজ নয় এই ট্রাইবদের। মেয়ে পছন্দ হবে ঠিকআছে, তবে কিনা পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যায়না। বিয়ের আগে মরদকে এক কঠিন পৌরষত্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। ঐ ট্রাইবের পছন্দের মেয়ের বাড়ির লোক ছেলের মানে আমাদের মহামান্য বরের বিচিতে
তিনবার গুলতি মারে। ছেলে যদি সহ্য করতে পারে, তাহলেই বিয়ে হবে। কেননা, মেয়ে পাচ্ছে আসলি
মরদ। ছেলে না সহ্য করতে পারলে ... লবডঙ্কা।
হা হা
আফ্রিকার পাঁচটি অদ্ভুত হাস্যকর রীতিনীতি আফ্রিকার পাঁচটি অদ্ভুত হাস্যকর রীতিনীতি Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor on ৫:১০ PM Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Good books

Blogger দ্বারা পরিচালিত.