ইমতিয়াজ মাহমুদ
এক.
বারান্দায় অনেক রোদ
হারুন আপনার গা পুড়ে যায়, তাও বসে থাকেন
সাত তলায়
রেলিং
নাই
আপনার বউ রোদে চাদর শুকাতে আসে
আপনি বসে থাকেন, আপনার গা পুড়ে যায়
আপনার বউ চাদর উল্টাতে যায়
হারুন আপনার তখন মনে হয়
সে বারান্দা থেকে পড়ে যাবে
রেলিং নাই
আপনার গা পুড়ে যায়
আর আপনার বউ চাদর উল্টে
পড়ে
যায়
সাত তলা থেকে
‘হারুন! আপনার বউকে ধরুন!’
আপনি ধরতে যান। চাদর ধরেন; সে রাস্তায়।
দুই.
আপনার বউয়ের জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে
আবার
চলে
যায়
তাও
হাসপাতালে;
চিরতরে
হারুন কিছু বোঝার আগেই পুলিশ
আপনাকে ধরে নিয়ে যায়
থানায়
আপনার বউ বলে গেছে
আপনি তাকে ধাক্কা মেরেছেন।
তিন.
মানুষ কতটা হারামি হতে পারে বারান্দা
থেকে বউ না পড়লে তা বোঝাই যায়না
এক কাগজে লিখেছে টাকার জন্য খুন,
এক কাগজে লিখেছে যৌনবিকৃতি;
এক কাগজে লিখেছে আপনার
এক কাগজে লিখেছে দুজনারই
আপনার ছবিতে ছবিতে ছেয়ে গেছে মহল্লার দেয়াল;
হারুন, পাড়ার ছেলেরা উৎসবটা হাতছাড়া করতে চায় না।
চার.
আপনি দেখতে পান
কেউ আপনার সত্য কথাটা বিশ্বাস করে না
পুলিশ অথবা আপনার মা;
আর তখন আপনার মনে হতে থাকে
হয়ত আপনিই ভুল বলছেন;
হয়ত আপনিই ধাক্কা দিয়েছেন
রিমান্ডের তৃতীয় দিন আপনি স্বীকার করেন
অভিযোগ সত্য
আপনি দোষী,
হারুন, খুনের বিচার ফাঁসি!
পাঁচ.
মরে যাওয়ার সময় আপনি মুহূর্তের মধ্যে গোটা জীবন
স্থিরচিত্রের মতো দেখতে পান। আর তখন খুব পরিষ্কার দেখতে
পান—আপনি বারান্দায় বসা আর চাদর উল্টে আপনার বউ
সাত তলা থেকে পড়ে যাচ্ছে; আপনি বুঝতে পারেন
কী অন্যায় আপনার সাথে করা হয়েছে
কিন্তু ন্যায়বিচার কোথায় পাবেন?
হারুন, এখন খোদার কথা ভাবেন।
ছয়.
পুলিশের কাছে মিথ্যা বলার
অপরাধে
খোদা
আপনাকে দোজখে পাঠালো।
যে দোজখ আপনার অনেক পরিচিত
দোজখে অনেক আগুন
তাতে
আপনার
গা
পুড়ে
যায়
যেন সাত তলার বারান্দায় বসে আছেন
আপনার বউ বারান্দায় আসে
আপনার মনে হয় সে
বারান্দা
থেকে
পড়ে
যাবে
রেলিং নাই
হারুন! পড়ে যাওয়ার আগে ধরুন!
অমরতা
মরতে আমার খালি দেরি হয়ে যায়!
আকাশের কিমাকার মেঘদল দেখে
আমি একা মরে মরে বেঁচে থাকি রোজ
আর বেঁচে যেতে গিয়ে পুনরায় ভাবি,
পরদিন পেতে পারি মরণের খোঁজ।
পৃথিবীতে আমি মরে যেতে পারতাম
কোন সাপের কামড়ে, হঠাৎ বিমারে,
পথে হেঁটে যেতে যেতে বাসের তলায়!
আমার কাফন তবু চুরি হয়ে যায়
আমার গায়ের জামা ছোট হয়ে যায়।
পৃথিবীতে আমি মরে যেতে পারতাম
হাসতে হাসতে একা মাথা ঘুরে পড়ে,
ধারালো ছুরিতে আর কফির চুমুকে!
কফির বদলে লোকে বিষ খেতে দেয়
আমি এক চুমুকে তা খেয়ে উঠে ভাবি,
এবার আমারে আর যাবে না বাঁচানো
আকাশের মেঘদল উড়ে গেলে দেখি
বিষের গেলাসে আবে হায়াত মেশানো!
ফুটনোট
অনেক পিপাসা আছে বোধের অতীত
বরফের গায়ে তবু লেখা থাকে শীত
শীতকাল এলে দেখি ঝরে পড়ে পাতা
এঘরে বালিশ পোড়ে ঐঘরে কাঁথা
যার কিছু পোড়ে নারে তারও পোড়ে মন
বাসে বসে ভুলে গেছি কে যে কার বোন
কে কাহার বোন হয় কে যে কার ভাই
এই শীতে দল বেঁধে এসো ভুলে যাই
ভুলে যেতে যেতে গিয়ে ভুল করে দেখি
পিপাসা মেটাতে আসে ভিনদেশী পাখি
পাখি এসে ফল খায় পোকা খায় ফুল
কে আর শোধাতে পারে কবেকার ভুল
ভুল তার কবেকার অন্ধকার নেশা
মরণের গান গাওয়া শিশুটির পেশা
শিশু একা গান গায় বাবা গেছে চাঁদে
শান্তি ইয়াহওয়েহ কত শান্তি কাঁদে
যে কাঁদে কাঁদুক তবু লিখি ফুটনোট
ফুল তুই তেলাবিবে বোমা হয়ে ফোট!
সম্পর্ক
আমার বাবাকে একটি এনজিওর কাছে ভাড়া দিয়েছি।
প্রতি সপ্তাহে পনেরশ টাকা পাওয়া যাবে। তার বয়স
কম। এই মার্চে ৭২ হবে। এনজিওর পরিচালক বলেছে
বয়স ৮২ হলে আরও সাতশ টাকা বেশি পাওয়া যেত।
বাবাকে মাঠকর্মীর কাছে তুলে দেয়ার সময় তার চোখ
ভেজা ছিলো। চোখ মুছে উনি বলছিলেন, তুই পারলি?
আমি চুপ থাকি। এর উত্তরে আর কী ইবা বলা যায়!
মাঠকর্মী তাকে পিকআপে ওঠানোর সময় তিনি আমার
মৃত্যু কামনা করলেন। আমি অবশ্য তার দীর্ঘায়ু চাই,
বাবাকে ভাড়া দেওয়া ছাড়া; আমার কোনো রোজগার নাই!
কালো কৌতুক
ওই শিল্পী একদিন একথা খুব ভাবছিলেন যে মাত্র
দুটি হাত আর দশটি আঙুল দিয়ে কিভাবে
তিনি জীবন সামলাবেন আর কিভাবেই বা
শিল্প করবেন? এ কথা ভাবতে ভাবতে তার
বুক চিরে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়।
ভয়ানক সেই দীর্ঘশ্বাসটি ধীরে ধীরে তার সারা
শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আর তিনি দেখতে পান
তার শরীর ভরে উঠছে আঙুলে। তার হাতের
তালুতে আঙুল। মুখে-বুকে-পিঠে-হাঁটুতে
আঙুল আর আঙুল। মাথায় চুলের বদলে আঙুল।
এরপর তিনি খুব ভালোভাবে জীবন সামলানো
শুরু করেন আর শিল্প করতে থাকেন। গোড়ালির
আঙুল দিয়ে তিনি যখন ফুলের চারা লাগান,
তখন পিঠের আঙুল দিয়ে যুদ্ধ করেন আবার ঠিক
একই সময় মাথার আঙুল দিয়ে ছবি আঁকেন।
তার ছবিগুলো হয় খুব সুন্দর। সারা পৃথিবীতে তার
সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তাকে দেখতে দেশ বিদেশ থেকে
মানুষজন আসে। তার সাথে সেলফি তোলে। তাকে নিয়ে
ডকুমেন্টারিও হয়। তিনি এর কিছুই দেখতে পান না
কেননা তার দু’চোখ থেকেও বের হয়েছে দশটি আঙুল।
সজল আহমেদ
ভাঙা কাঁচ
আমি একটা কাঁচ আর ভেঙে যাই বিভিন্নভাবে
ভাঙা কাঁচে রক্ত লেগেছিলো ছিন্ন হৃদয়ের।
বোকার শহরে বেকুব
কতকাল হয়ে গেল শুনি না তোমার কথা
ছড়ার মতো বিভ্রান্ত শহরে মিলে গেলে ছন্দ-উপকথা
স্মৃতির শহরে বেকুব ঘুরে আর ফিরে
অবশেষে একদিন, একদিন অবশেষে
আশা জমে ভারি হয়ে মরে।
বিশাল সমুদ্র দেখো কত জল বহে;
নিমগ্ন আঁধারে দেখো জোনাকি পোকারা ওড়ে
উড়ে যায় কতশত ব্যথাবাহী স্মৃতি
সন্ধের আকাশে মেঘের সারথি
উঁচুতে দূরে ঐ উড়ে যায় বক
আজানের ধ্বনিতে কাকেরা অবাক
অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভীত আমার শরীর
অহেতুক মরে যাব, অসুখের ভিড়।
একেকটা স্মৃতি যেন আকাশসম ভারি
আমার বুকে কেন খোদা জমা এত আহাজারি?
কাঁপে না কী প্রভু তোমার আসমান?
কাঁপে না? কাঁপে না?
আমি কেন কাঁদি প্রভু তুমি কী বুঝো না?
জগদ্দল ভারি বুকে বিঁধে ব্যথার কিরিচ
বাঁচতে চাই না আমি দিও না আশিস।
ফুল পড়ে ঝরে গাছের শরীরে ব্যথা
ঝরে পরে বয়োসন্ধিতে শুকনা পাতা
গাছের বেদনা কেন ফুল ঝরে পড়ে
জোনাকি তলিয়ে যায় কৃষ্ণ আঁধারে
আর বাজে না কানে ঝিঁঝির আওয়াজ
হৃদয় সমুদ্রে খড়া চোখে বিরহের ঝাঁঝ।
কাঁদি কেন এত আমি; এত কেন কাঁদি?
সমুদ্রে পানি অত যা কেঁদেছি অবধি
আমার মাঝে বারে বারে আমি যা দেখেছি
অন্য কোথায় কিংবা বাইরের জগৎ অত দুঃখ পোষেনি।
পোষেনি পোষেনি কেউ আমার মতো কুকুর
অনাহারী থাকে না রাত-ভোর-দুপুর!
ওগো বিশাল আকাশ আমার সাক্ষী থেকে যা
যা কেঁদেছি ওতক সমাপ্ত; খোদার কসম আর আমি কাঁদবো না।
একটি খোলামাঠে এক কোটি আশা
ভিড় ভেঙে উপচে পড়ে বেদনা-ব্যথা
নদীর জলেতে নেই সম্বল আর আশা
ফিরে দেখা পরিণতি মিছে ভালোবাসা
কুচক্রিরা সদা জল বহে মুখে
আশা যদি ভেঙে যায় বেদনা বুকে
ফিরে ফিরে আর আমি তাকাবো না
জলের ছিটায় এ ঘুম ভাঙাবো না
আশ্চর্য এক পাখি উড়ে দূরে গেলে
আকাশের অজানায় যায় ডানা মেলে
দূরের পাখি তার দূরেতেই বাসা
দূরের পাখিতে কেন মিছে ভালোবাসা
আর যদি ভুল করি ডেকো না আমায়
চোখ মেলে ডানা খুলে ডাকবো না তোমায়
কিংবা জলেতে কেউ ঘুম ভাঙা চোখে
যদি কেউ এভাবে ডানামেলে ডাকে
এসো না এসো না ফিরে কারো ডাকে তুমি
তোমাকে আর ভালোবাসবো না আমি।
মধুচক্র
সৃজিল গুহার দেশে সমুদ্র আঁধার
আসওয়াদ অন্তর্বাসে ঢাকা লাল পাহাড়
বাদুড়ের মুখে রুচে অাঁধারের গান
কালো সন্ধ্যায় হাকে এ কোন আজান?
ঘাসে ঘাসে মোড়া আজ কবরের পার
অন্ধকারের দেশে আছে মধুর নহর
নহরে নহরে আজ ফোয়ারা মধুর
মধু খেতে হলে, যেতে হবে বহুদূর।
ফুল পাখি মৌমাছি সবে মিলি ছোটে
ফুল কলিতে, মৌমাছি মুখে, পাখি; মধু আনে ঠোঁটে।
পাখি মধু এনে জমা করে নীরব বাসায়
ফুলমধু চুরি করে মৌমাছি জমায়
মৌমাছির শতদিনে জমা মধু খোয়া যায় দানব গ্রাসে
মানবে তা পান করে গেলাশে গেলাশে।
এভাবেই মধুচক্র চলে যায় রোজ-
ও বাবা তুই মধুকর হয়ে মধু বনেবনে খোঁজ।
রিদমড
ঘুমের শহরে কেউ কথা বলেনা
কথা বলেনা সেথা গাড়ি চলে না
.
গাড়ি চলেনা সেথা, গাড়ি চলে রোডে
গাড়ির পেছনে সবাই দল বেঁধে ছোটে
.
দলবেঁধে ছোটে সবে দলে দলে যায়
হেঁটে গেলে সকলের ঝিম ধরে পায়
.
ঝিম ধরে পায় যদি কেউ হেঁটে যায়
হেঁটে হেঁটে সেঁজুতি বেঁটে হয়ে যায়
.
বেঁটে হয়ে যেই সে ফুল ছুঁতে যায়
হাত ছিড়ে রক্ত গড়ায় কাঁটারো গুতায়
.
কাঁটার গুতায় যেই রক্ত তাঁর ঝরে
বিষের জ্বালায় ফুপিয়ে সে মরে
.
ফুপিয়ে মরে সে অকথ্য ব্যথায়
অকথ্য ব্যথারা একদা শরীরে মিশে যায়
.
শরীরে মিশে যায় তার সাথে শিতল ও বাতাস
শিতল বাতাসে ওরা খেলে তিন তাস
.
তিন তাস খেলে যেই কেউ হেরে যায়
একে অপরের তখন কপাল ফাটায়
.
কপাল ফাটিয়ে মজিদ ঘর ছাড়া হয়
ঘর পালালেই কুফার কপাল খুলে যায়
.
কপাল যেই খুলে যায় কুফা বেকুব হয়ে যায়
বেশি টাকা নিয়ে বসে পরে আবার জুয়ায়
.
জুয়ার আড্ডায় কুফা আবার যেই বসে
খয়রাতি কুফা রূপে গৃহে ফিরে আসে
.
গৃহে ফিরে এসে খায় ভাত সেই মেলামাইন থালায়
কুকুরের পেটে কভূ নাহি ঘি হজম হয়
.
ঘি হজম নাহি হলে থানকুনি খায়
থানকুনি খেলে পেটের ব্যামো চলে যায়
.
ব্যামো চলে গেলে আবার কুখাদ্য খায়
আবাল মরে না সব পৃথিবীতে পরে রয়
.
পরে রয় পৃথিবীতে কতশত অবাস্তব কল্পনা
মাটির বুকে ছিড়ে ফুটুক সুশ্রী ফুল সকলের বাসনা
.
বাসনা সকল কভূ পূর্ণ নাহি হয়
বেকুবের বুদ্ধি হলে সব অকালে হারায়
.
অকালে হারিয়ে যায় অযত্নের দাঁত
প্রেমিকা জমা করে শুধু অবসাদ
.
শুধু অবসাদ যারা জমা করতে জানে
তাঁরা শেখাতে আসে ভালোবাসার মানে
.
ভালোবাসার মানে ঝামেলা বাড়ানো
পঁচা মিস্টির নিষ্ফল মাছি তাড়ানো
.
মাছি তাড়িয়ে শেষে চলে গেলে বেলা
শিশুরা ফিরে ঘরে ছেড়ে এসে খেলা
.
ছেড়ে এসে খেলা মাকসুদ ঘুমুতো যায়
পলি কে স্বপ্নে দেখে দ্রুত ভোর হয়
.
ভোর হলে মা এসে কান ধরে টানে
মরিচ ডলে ভাত খায় বসে স্ব আসনে
.
স্ব আসন যে ছিনিয়ে নিতে জানে
তাঁর বুঝতে বাকি নেই জীবনের মানে
.
জীবনের মানে অস্ত্র ছাড়া যুদ্ধ
হয়তবা মরো, নতুবা মারো পালসুদ্ধু
.
পালসুদ্ধু যদি যুদ্ধে মারতে নাহি পারো
শত্রুর গুলিতে তবে আগেভাগে মরো।
(সংক্ষিপ্ত)
চাপাবাজ
কোন একদিন যদি আপনি রাস্তায় হাঁটেন
আর রাস্তাটা যদি হয় অন্ধকার
আপনি গৎবাঁধা বিষাদ নিয়ে ছুটছেন
রাস্তার পুরো ঝোপঝাড়ে বিষাক্ত সাপের কারবার!
হঠাৎ করে হলো কী একটা সাপের ছানা এসে কামড়ে দিলো
চিৎকার দিয়ে আপনি রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন
কারণ আপনি জানেন ছানা সাপ বুড়োর চে ভয়াল!
আপনি আরেকটু পর কিন্তু মারা যাচ্ছেন!
এখন আপনার মাথা ঘোরে, বমি আসে
আরেকটু পর আপনি মরে যাবেন-
আপনি ভাবছেন - এতদিন যত ডুবে ছিলেন পাপে
তার দরুণ আপনি জাহান্নামের রাস্তায় খাবি খাবেন।
সেল ফোনটা উঠিয়ে বান্ধবীকে কল করলেন
এবং তাঁর সাথে এ যাবৎ যত গূল মেরেছেন সব স্বীকার করে ফেললেন
এবং বল্লেন-
আপনি আর বেঁচে থাকবেন না, তাই সব সত্য প্রকাশ করেলেন।
এরপর আপনি অচেতন হলেন
ভয়েই আপনার ঘটলো অর্ধেক জীবনহানি
কোন এক পারাতো ভাই আপনাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন
আপনি কিছুই টের পাননি।
হাসপাতেল নিয়ে আসতে আসতে আপনার জ্ঞান ফিরলে
তাকিয়ে দেখলেন আপনি হাসপাতালের বেডে
সামনে বসা ডাক্তারের মুখে হাসির ছাপ
কারণ আপনার কিছুই হয়নি
ঝোপ থেকে এসে কোন এক নির্বিষ ছানা সাপ
কেটেছে পায়ে; আপনি কিন্তু মারা যাননি!
চোখ ঘোরাতেই দেখলেন পাশে বান্ধবী!
ওর চোখেমুখে শ্লেষ এর হাসি
আপনি ভাবলেন- বিষধর সাপের কামড়ই তো শ্রেয় ছিলো দেখার চেয়ে এ হাসি!
বান্ধবীর হাসিটাই যেন এক বিষধর সাপ
যেন আপনার শরীরে ছোবল দিচ্ছে
আর আপনি এক চাপাবাজ
আপনার চাপা আপনাকে এখন ঠোকরাচ্ছে।
ইমতিয়াজ মাহমুদ ও সজল আহমেদ এর বাছাইকৃত ১০ টি কবিতা
Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor
on
১১:৩৬ AM
Rating:
অসাধারণ খুব করে মনে লাগে
উত্তরমুছুন