#বাংলা_সাহিত্যের_ইতিহাস - (সংক্ষিপ্ত)
লেখাঃ Md Rafiqul Islam Robi
জানেন কি? যেই উপন্যাস, নাটক, গল্প, রম্য, প্রবন্ধ নিয়ে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে চাই বা দাড়াই তার বয়স মাত্র ২০০ বছর! এর আগে এগুলো সৃষ্টি হয়নি! এবং আসলেই সত্য এগুলো আসলেই সৃষ্টি হয়নি। তাহলে কি ছিল তার আগে? কেন বলা হয় বাংলা সাহিত্য হচ্ছে হাজার বছরের পুরনো সাহিত্য? চলুন এই ব্যাপারে সংক্ষেপে জেনে নেই।।
ঐতিহাসিক বোদ্ধাগণ বাংলা সাহিত্যকে মূলত ৩ টি ভাগে ভাগ করেন। যথা-
প্রাচীন যুগঃ
শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্য যে, বাংলা সাহিত্যের এই ৫৫০ বছরের একমাত্র ফুলের নাম চর্যাপদ! আর কোন নিদর্শন নেই বাংলা সাহিত্যে। কেন নেই এর কারন ব্যাখ্যা করতে গেলে এই লেখাটি বড় হয়ে যাবে কারন এটার সাথে বাংলা ভাষার ইতিহাস, সেকালের সমাজ ব্যবস্থার ইতিহাস ইত্যাদি জড়িত।
চর্যাপদ মূলত ৪৬ টি পূর্ণ আর অর্ধেক কবিতা মোট ৪৬.৫ টি কবিতা নিয়ে রচিত। প্রধান কবিদের অন্যতম হলেন কানপা, লুইপা, ভুসুকাপা।
মধ্যযুগঃ ১২০১-১৮০০ মাঝে ১২০১-১৩৫০ হল অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। কারন এই যুগে কোন সাহিত্যই সৃষ্টি হয়নি। এর কারন আজও রহস্যের মধ্যেই রয়ে গেছে। কেউই আবিষ্কার করতে পারেনি মুল সত্য।
মূলত ১৩৫১-১৮০০ সাল পর্যন্ত রচিত হয় কাব্য আর কাব্য। সৃষ্টি হয় গীতিকবিতা। কবিগণ সৃষ্টি করেন অমৃত। পান করেন নিজেরা। পান করান আমাদের। এসময় সৃষ্টি হয় কালজয়ী শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যার রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। মূলত মধ্যযুগ বিখ্যাত মঙ্গলকাব্যের জন্য। প্রায় ৪৫০ বছর যাবত এগুলোই সৃষ্টি হয়েছে (আরও কিছু উপাদান)। এ যুগের অন্যতম নক্ষত্র হলেন মুকুন্দরায়, রায় গুনাকর, বিজয়গুপ্ত, এবং বংশীদাস। তারা মূলত ধর্মীয় কাব্য রচনা করেছেন যেখানে স্তুতি বর্ণনা করা হয়েছে দেবদেবীর। মানুষ এখানে ছিল প্রায় গৌণ অবস্থায়।
কিন্ত ভিন্নতা এনেছেন মুসলিম কবি। আলাওল, শাহ মোঃ সগীর, আব্দুল হাকিম অন্যতম। (বাংলা ভাষার প্রথম মুসলিম কবি মোঃ সগীর) এরা সৃষ্টি করেন, ইউসুফ-জুলেখা, লাইলি-মজনুর মত অমর সব সৃষ্টি সমূহ।
উল্লেখ্য মধ্যযুগে মূলত সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গল কাব্য (রচয়িতা- হিন্দু কবিগণ) আর রোমান্টিক কাব্য (রচয়িতা- মুসলিম কবিগণ) এছাড়াও আরও অনেক কিছুই ছিল যা উল্লেখ করলে লেখাটি বড় হবে বিধায় উল্লেখ করলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে এ যুগেও কিন্ত সৃষ্টি হয়নি গল্প, উপন্যাস, রম্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি।
এবার আলোচনা করা যাক আধুনিক যুগ সম্পর্কে। কিন্ত তার আগে প্রাচীন এবং মধ্যযুগের দুটি তথ্য টীকা আকারে দিতে চাই।
টীকা ০১ - চর্যাপদ - এটি রচিত হয় মূলত ৯৫০-১২০০ অব্দের মধ্যে। তবে রহস্যজনকভাবে এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে তাও নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে। এটি আবিষ্কার করেন পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। এর আরও কিছু নাম আছে যেমন কেউ বলেন এর নাম চরয্যাশ্চ্যবিনিশ্চয় আবার কেউ বলেন এর নাম চরয্যাচরয্যবিনিশ্চয়।। যাইহোক আমরা পেলাম বড় সুন্দর আর সহজ একটা নাম চর্যাপদ। টীকাঃ ০২ - শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন যা অবহেলায় অনাদরে পড়েছিল বাকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়ালঘরে। ১৯০৯ অব্দে এটি উদ্ধার করেন বসন্ত রঞ্জন রায় যা রচিত হয় বড়ু চণ্ডীদাস দ্বারা।
এবার বলা যাক আধুনিক যুগ সম্পর্কে। কালের বিবর্তনে প্রতিটি জিনিস ই ফিরে পেতে থাকে তার পূর্ণতা। বাংলা সাহিত্যের এই পূর্ণতায় আছে অনেকের ই নাম যাদের অবদান এত ছোট আর্টিকেলে উল্লেখ করা অসম্ভব। শুধুমাত্র কয়েকজনের নাম আর অবদান উল্লেখ করা হল। এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
মূলত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুর পর ই শেষ হয় মধ্যযুগ। তাই তাকে বলা হয় যুগ সন্ধিক্ষণের কবি। তারপর উদিত হয় আধুনিক যুগের সূর্য! এই যুগের সাহত্যের প্রধান বৈশিষ্ট হল মানবতাদ, আত্মচেতনা এবং তার প্রসার। আগের সাহিত্যে মূলত দেব দেবীর স্তুতি গাওয়া হত। কিন্ত আধুনিক যুগ এই প্রথা ভেঙ্গে দেয়। জন্ম দেয় নতুন প্রথার। এই যুগেই আমরা পাই গল্প, উপন্যাস, রম্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি। এর সুচনা করেন অনেকেই। তার মধ্যে প্রথম আর প্রধান হলেন উইলিয়াম কেরি। এজন্য বাঙ্গালী এই মহান মানুষকে মনে রাখবে আজীবন।
উল্লেখযোগ্য অনেকের নামই বলতে পারি তবে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র নামের ভদ্রলোকের যিনি আবস্কার করেন বাংলা ভাষার ১২ টি বিরাম চিহ্নের। তার আগে বাংলা সাহিত্য কোন দাড়ি কমা ছিল না! শুধু ছিল এক দাড়ি আর দুই দাড়ি! তিনি একজন সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। মানুষ খুশি হয়ে তার উপাধি দিলেন বিদ্যাসাগর।
তা দেখে কিছুটা মনে কষ্ট পেয়ে কপালকুণ্ডলা, দুর্গেশ নন্দিনি, বিষবৃক্ষ কিংবা কমলাকান্তের দপ্তরের মত কালজয়ী উপন্যাস প্রবন্ধ সৃষ্টি করেন বঙ্কিমচন্দ্র সাহেব। মানুষ দিলেন বাহবা!!! বিনিময়ে পেয়ে গেলেন সাহিত্য সম্রাট উপাধি! এটা দেখে রেগেমেগে বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মেঘনাদবদ এবং বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রচলন করলেন সনেটের সেই সাথে নাটকও। আরও সৃষ্টি করলেন প্রহসন! তার এতগুনে মুগ্ধ হয়ে এবার সবাই তাকে দিলেন বাংলা কাব্য সাহিত্যের আধুনিকতার জনক, আধুনিক বাংলা নাটকের জনক, বাংলা সাহিত্যর সনেটের প্রবর্তক। তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে প্রথম উপন্যাস কিন্ত প্যারিচাদ মিত্র ই লেখেন যার নাম আলালের ঘরে দুলাল।
মধুসূদন এরপর আসেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তার নিপুন ছোঁয়া পড়েনি। তিনি একই সঙ্গে কবি, ঔপন্যাসিক, শিক্ষাবিদ, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা, ভাষাবিদ, গায়ক, নাট্যপ্রযোজক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক! তাই তার সম্পর্কে কোন রকম আলোচনা এই আর্টিকেলে করতে চাইনা শুধু এতটুকু ই বলব রবী ঠাকুর মানেই একটি নাম একটি জগত! তার সাহিত্যের অনবদ্য অবদান স্বরূপ তিনি পান নোবেল পুরুস্কার! (গীতাঞ্জলী কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ - song offerings, ১৯১২)
মূলত বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের শাখাকে যে কয়জন টেনে নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ৬ জন যেমন ১ ঠাকুর (রবিন্দ্রনাথ) ২ চট্টোপাধ্যায় (শরত, বঙ্কিম) আর ৩ বন্দ্যোপাধ্যায় (বিভুতি, মানিক, তারাশঙ্কর) উপন্যাসের জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে রবী ঠাকুরকেও যিনি ছাপিয়ে গেছেন তিনি শরৎ বাবু। সমাজের পোড় খাওয়া, নিগৃহীত, অবহেলিত মানুষদের প্রতিদিনের মনের কথা আর বাস্তব অথচ করুন চিত্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তাকে দেয়া হয় "বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পি" উপাধি।
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্ত তার কাছাকাছিই ছিলেন। বিভূতি বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পথের পাঁচালি, আরণ্যক বা আদর্শ হিন্দু হোটেল প্রভৃতি সৃষ্টির জন্য। একইভাবে মানিক বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পুতুল নাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা ইত্যাদির জন্য কিংবা তারাশঙ্কর বাবুকে সবাই চিনবে তার কবি, গনদেবতা, ধাত্রিদেবতার প্রভৃতি অমরসব সৃষ্টির জন্য।
মূলত বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতা যে কয়জন সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম সবার আগে থাকবে। তারা হলেন, বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধিন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে ও অমিয় চক্রবতি।
এদের মধ্যে আবার অন্যতম হলেন জীবনানন্দ দাশ। তার কবিতাই আগের সকল নিয়মকে ভেঙ্গে দেয়। রচনা করেন কবিতায় আধুনিক ধারা! রবী ঠাকুর তার কবিতাকে বলেছিলেন "চিত্ররুপময়" আর বুদ্ধদেব বলেছিলেন "নির্জনতম কবি" সাহিত্যবোদ্ধারা তাকে বলেন, "শুদ্ধতম কবি"
অপর দিকে যার কবিতায় শরীরের পশম দাড়াতে বাধ্য, কর্ণে ঝঙ্কার তুলতে বা রক্ত টগবগ করতে যার জুড়ি নেই, নিজেই ছিলেন বিদ্রোহী, মানুষের মনে বিদ্রোহ আনতে যার জুড়ি মেলাভার তিনিই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। অল্পবয়সে তিনি বাকরুদ্ধ না হলে সৃষ্টি করে যেতেন অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান এর মত অনবদ্য সব সৃষ্টি!
তারমত না হলেও বাংলার আরেক নক্ষত্র মাত্র ২১ বছর বয়সেই পরপারে চলে যান। তিনি কবি সুকান্ত (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ছাড়পত্র।
আরেকজন মানুষ কিন্ত পুরো লেখার আর ভাষার রীতিকেই ঢেলে সাজান। চালু করেন চলিত রীতি! তিনি প্রমথ চৌধুরী। অন্যদিকে হাস্যরসাত্মক সাহিত্যে নারায়ণ কিংবা প্রেমেন্দ্র মিত্রকে সবাই ই মনে রাখবে যথাক্রমে তাদের টেনিদা আর ঘনাদার জন্য।
তবে এই পর্যায়ে যদি সত্যজিৎ সাহেবের নাম না লিখি তবে বিশাল ভুল হয়ে যায়! কোন দিক তার অস্বীকার করা যায়? তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি চরিত্রের স্রষ্টা। একটি হল প্রাতিজনিক গোয়েন্দা ফেলুদা, অন্যটি বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু। তবে তার আরেকটি পরচিচয় না দিলে তার পরিচয় অসম্পুর্ন ই রয়ে যাবে আর তা হল তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কারটি। আর সবচেয়ে বিখ্যাত পুরস্কার হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কারটি (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন।
উনার পাশাপাশি আরেকজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার হলেন জহির রায়হান। তার স্তপ জেনোসাইড আর লেট দেয়ার বি লাইট হল তার বিখ্যাত দুটো চলচিত্র আর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হল প্রবন্ধ। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল বরফগলা নদী, হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন ইত্যাদি।
আর অতি সম্প্রতির উদাহরন দিলে যেই কিছু নাম চলে আসবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সমরেশ মজুমদার, সুনীল আর হুমায়ূন আহমেদ! বলা যায় বর্তমান জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে এরা তুঙ্গে আছেন। সমরেশ বাবুর সেরা লেখার মধ্যে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণী, সাতকাহন ইত্যাদি আর সুনীল বাবুকে সবাই মনে রাখতে বাধ্য উনার সেই সময়, পুর্ব পশ্চিম, প্রথম আলো, কাকা বাবু সমগ্র ইত্যাদি কালজয়ী লেখার জন্য।
হুমায়ূন আহমেদ এদিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কারন তিনি বাংলাদেশী মানুষদের পশ্চিম বাংলা বিমুখ করতে একাই লড়েছেন এবং সফলও হয়েছিলেন। তিনি নতুন ধারা সৃষ্টি করেন আর সেটি হল সংলাপ প্রধান সাহিত্য! তার কালজয়ী সৃষ্টি হিমু, মিসির আলী, শুভ্র খুবই জনপ্রিয়তা পেয়ছে আর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, দেয়াল, বাদশাহ নামদার, নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার ইত্যাদি প্রধান।
পরিশেষে আবারও ক্ষমাপ্রাথি এজন্য যে, এত ছোট আর্টিকেলে বাদ রয়ে গেছে অনেকেরই নাম। নির্মলেন্দু গুন, জসিম উদ্দিন, মীর মোশাররফ, শামসুর রাহমান, শওকত আলী, রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ফররুখ আহমদ, শওকত ওসমান, আবু ইসহাক, আল মাহমুদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা প্রভৃতি নক্ষত্রসহ অগণিত লেখকগনের নাম। তথ্য প্রদানেও থাকতে পারে ভুল। এই ভুল ধরিয়ে দিলে থাকব কৃতজ্ঞ হয়ে।
লেখাঃ Md Rafiqul Islam Robi
জানেন কি? যেই উপন্যাস, নাটক, গল্প, রম্য, প্রবন্ধ নিয়ে আজ আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে চাই বা দাড়াই তার বয়স মাত্র ২০০ বছর! এর আগে এগুলো সৃষ্টি হয়নি! এবং আসলেই সত্য এগুলো আসলেই সৃষ্টি হয়নি। তাহলে কি ছিল তার আগে? কেন বলা হয় বাংলা সাহিত্য হচ্ছে হাজার বছরের পুরনো সাহিত্য? চলুন এই ব্যাপারে সংক্ষেপে জেনে নেই।।
ঐতিহাসিক বোদ্ধাগণ বাংলা সাহিত্যকে মূলত ৩ টি ভাগে ভাগ করেন। যথা-
- ১। প্রাচীন যুগ- ৬৫০-১২০০= ৫৫০ বছর
- ২। মধ্যযুগ- ১২০১-১৮০০= ৬০০ বছর
- ৩। আধুনিক যুগ- ১৮০১- বর্তমান।
- *** অন্ধকার যুগ ১২০১-১৩৫০ (অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ) = ১৫০ বছর
প্রাচীন যুগঃ
শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্য যে, বাংলা সাহিত্যের এই ৫৫০ বছরের একমাত্র ফুলের নাম চর্যাপদ! আর কোন নিদর্শন নেই বাংলা সাহিত্যে। কেন নেই এর কারন ব্যাখ্যা করতে গেলে এই লেখাটি বড় হয়ে যাবে কারন এটার সাথে বাংলা ভাষার ইতিহাস, সেকালের সমাজ ব্যবস্থার ইতিহাস ইত্যাদি জড়িত।
চর্যাপদ মূলত ৪৬ টি পূর্ণ আর অর্ধেক কবিতা মোট ৪৬.৫ টি কবিতা নিয়ে রচিত। প্রধান কবিদের অন্যতম হলেন কানপা, লুইপা, ভুসুকাপা।
মধ্যযুগঃ ১২০১-১৮০০ মাঝে ১২০১-১৩৫০ হল অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। কারন এই যুগে কোন সাহিত্যই সৃষ্টি হয়নি। এর কারন আজও রহস্যের মধ্যেই রয়ে গেছে। কেউই আবিষ্কার করতে পারেনি মুল সত্য।
মূলত ১৩৫১-১৮০০ সাল পর্যন্ত রচিত হয় কাব্য আর কাব্য। সৃষ্টি হয় গীতিকবিতা। কবিগণ সৃষ্টি করেন অমৃত। পান করেন নিজেরা। পান করান আমাদের। এসময় সৃষ্টি হয় কালজয়ী শ্রীকৃষ্ণকীর্তন যার রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস। মূলত মধ্যযুগ বিখ্যাত মঙ্গলকাব্যের জন্য। প্রায় ৪৫০ বছর যাবত এগুলোই সৃষ্টি হয়েছে (আরও কিছু উপাদান)। এ যুগের অন্যতম নক্ষত্র হলেন মুকুন্দরায়, রায় গুনাকর, বিজয়গুপ্ত, এবং বংশীদাস। তারা মূলত ধর্মীয় কাব্য রচনা করেছেন যেখানে স্তুতি বর্ণনা করা হয়েছে দেবদেবীর। মানুষ এখানে ছিল প্রায় গৌণ অবস্থায়।
কিন্ত ভিন্নতা এনেছেন মুসলিম কবি। আলাওল, শাহ মোঃ সগীর, আব্দুল হাকিম অন্যতম। (বাংলা ভাষার প্রথম মুসলিম কবি মোঃ সগীর) এরা সৃষ্টি করেন, ইউসুফ-জুলেখা, লাইলি-মজনুর মত অমর সব সৃষ্টি সমূহ।
উল্লেখ্য মধ্যযুগে মূলত সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গল কাব্য (রচয়িতা- হিন্দু কবিগণ) আর রোমান্টিক কাব্য (রচয়িতা- মুসলিম কবিগণ) এছাড়াও আরও অনেক কিছুই ছিল যা উল্লেখ করলে লেখাটি বড় হবে বিধায় উল্লেখ করলাম না। মজার ব্যাপার হচ্ছে এ যুগেও কিন্ত সৃষ্টি হয়নি গল্প, উপন্যাস, রম্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি।
এবার আলোচনা করা যাক আধুনিক যুগ সম্পর্কে। কিন্ত তার আগে প্রাচীন এবং মধ্যযুগের দুটি তথ্য টীকা আকারে দিতে চাই।
টীকা ০১ - চর্যাপদ - এটি রচিত হয় মূলত ৯৫০-১২০০ অব্দের মধ্যে। তবে রহস্যজনকভাবে এটি আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে তাও নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে। এটি আবিষ্কার করেন পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। এর আরও কিছু নাম আছে যেমন কেউ বলেন এর নাম চরয্যাশ্চ্যবিনিশ্চয় আবার কেউ বলেন এর নাম চরয্যাচরয্যবিনিশ্চয়।। যাইহোক আমরা পেলাম বড় সুন্দর আর সহজ একটা নাম চর্যাপদ। টীকাঃ ০২ - শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন যা অবহেলায় অনাদরে পড়েছিল বাকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়ালঘরে। ১৯০৯ অব্দে এটি উদ্ধার করেন বসন্ত রঞ্জন রায় যা রচিত হয় বড়ু চণ্ডীদাস দ্বারা।
এবার বলা যাক আধুনিক যুগ সম্পর্কে। কালের বিবর্তনে প্রতিটি জিনিস ই ফিরে পেতে থাকে তার পূর্ণতা। বাংলা সাহিত্যের এই পূর্ণতায় আছে অনেকের ই নাম যাদের অবদান এত ছোট আর্টিকেলে উল্লেখ করা অসম্ভব। শুধুমাত্র কয়েকজনের নাম আর অবদান উল্লেখ করা হল। এজন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
মূলত ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের মৃত্যুর পর ই শেষ হয় মধ্যযুগ। তাই তাকে বলা হয় যুগ সন্ধিক্ষণের কবি। তারপর উদিত হয় আধুনিক যুগের সূর্য! এই যুগের সাহত্যের প্রধান বৈশিষ্ট হল মানবতাদ, আত্মচেতনা এবং তার প্রসার। আগের সাহিত্যে মূলত দেব দেবীর স্তুতি গাওয়া হত। কিন্ত আধুনিক যুগ এই প্রথা ভেঙ্গে দেয়। জন্ম দেয় নতুন প্রথার। এই যুগেই আমরা পাই গল্প, উপন্যাস, রম্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি। এর সুচনা করেন অনেকেই। তার মধ্যে প্রথম আর প্রধান হলেন উইলিয়াম কেরি। এজন্য বাঙ্গালী এই মহান মানুষকে মনে রাখবে আজীবন।
উল্লেখযোগ্য অনেকের নামই বলতে পারি তবে অন্যতম হলেন ঈশ্বরচন্দ্র নামের ভদ্রলোকের যিনি আবস্কার করেন বাংলা ভাষার ১২ টি বিরাম চিহ্নের। তার আগে বাংলা সাহিত্য কোন দাড়ি কমা ছিল না! শুধু ছিল এক দাড়ি আর দুই দাড়ি! তিনি একজন সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। মানুষ খুশি হয়ে তার উপাধি দিলেন বিদ্যাসাগর।
তা দেখে কিছুটা মনে কষ্ট পেয়ে কপালকুণ্ডলা, দুর্গেশ নন্দিনি, বিষবৃক্ষ কিংবা কমলাকান্তের দপ্তরের মত কালজয়ী উপন্যাস প্রবন্ধ সৃষ্টি করেন বঙ্কিমচন্দ্র সাহেব। মানুষ দিলেন বাহবা!!! বিনিময়ে পেয়ে গেলেন সাহিত্য সম্রাট উপাধি! এটা দেখে রেগেমেগে বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্য মেঘনাদবদ এবং বাংলা সাহিত্যে প্রথম প্রচলন করলেন সনেটের সেই সাথে নাটকও। আরও সৃষ্টি করলেন প্রহসন! তার এতগুনে মুগ্ধ হয়ে এবার সবাই তাকে দিলেন বাংলা কাব্য সাহিত্যের আধুনিকতার জনক, আধুনিক বাংলা নাটকের জনক, বাংলা সাহিত্যর সনেটের প্রবর্তক। তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তবে প্রথম উপন্যাস কিন্ত প্যারিচাদ মিত্র ই লেখেন যার নাম আলালের ঘরে দুলাল।
মধুসূদন এরপর আসেন বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তার নিপুন ছোঁয়া পড়েনি। তিনি একই সঙ্গে কবি, ঔপন্যাসিক, শিক্ষাবিদ, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, নাট্যকার, অভিনেতা, ভাষাবিদ, গায়ক, নাট্যপ্রযোজক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিক! তাই তার সম্পর্কে কোন রকম আলোচনা এই আর্টিকেলে করতে চাইনা শুধু এতটুকু ই বলব রবী ঠাকুর মানেই একটি নাম একটি জগত! তার সাহিত্যের অনবদ্য অবদান স্বরূপ তিনি পান নোবেল পুরুস্কার! (গীতাঞ্জলী কাব্যের ইংরেজি অনুবাদ - song offerings, ১৯১২)
মূলত বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের শাখাকে যে কয়জন টেনে নিয়ে গেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ৬ জন যেমন ১ ঠাকুর (রবিন্দ্রনাথ) ২ চট্টোপাধ্যায় (শরত, বঙ্কিম) আর ৩ বন্দ্যোপাধ্যায় (বিভুতি, মানিক, তারাশঙ্কর) উপন্যাসের জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে রবী ঠাকুরকেও যিনি ছাপিয়ে গেছেন তিনি শরৎ বাবু। সমাজের পোড় খাওয়া, নিগৃহীত, অবহেলিত মানুষদের প্রতিদিনের মনের কথা আর বাস্তব অথচ করুন চিত্র অত্যন্ত সুন্দরভাবে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। তাকে দেয়া হয় "বাংলা সাহিত্যের অপরাজেয় কথাশিল্পি" উপাধি।
তিন বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্ত তার কাছাকাছিই ছিলেন। বিভূতি বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পথের পাঁচালি, আরণ্যক বা আদর্শ হিন্দু হোটেল প্রভৃতি সৃষ্টির জন্য। একইভাবে মানিক বাবুকে সবাই মনে রাখবে তার পুতুল নাচের ইতিকথা, দিবারাত্রির কাব্য, পুতুল নাচের ইতিকথা ইত্যাদির জন্য কিংবা তারাশঙ্কর বাবুকে সবাই চিনবে তার কবি, গনদেবতা, ধাত্রিদেবতার প্রভৃতি অমরসব সৃষ্টির জন্য।
মূলত বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতা যে কয়জন সৃষ্টি করেছেন তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম সবার আগে থাকবে। তারা হলেন, বুদ্ধদেব বসু, জীবনানন্দ দাশ, সুধিন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে ও অমিয় চক্রবতি।
এদের মধ্যে আবার অন্যতম হলেন জীবনানন্দ দাশ। তার কবিতাই আগের সকল নিয়মকে ভেঙ্গে দেয়। রচনা করেন কবিতায় আধুনিক ধারা! রবী ঠাকুর তার কবিতাকে বলেছিলেন "চিত্ররুপময়" আর বুদ্ধদেব বলেছিলেন "নির্জনতম কবি" সাহিত্যবোদ্ধারা তাকে বলেন, "শুদ্ধতম কবি"
অপর দিকে যার কবিতায় শরীরের পশম দাড়াতে বাধ্য, কর্ণে ঝঙ্কার তুলতে বা রক্ত টগবগ করতে যার জুড়ি নেই, নিজেই ছিলেন বিদ্রোহী, মানুষের মনে বিদ্রোহ আনতে যার জুড়ি মেলাভার তিনিই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। অল্পবয়সে তিনি বাকরুদ্ধ না হলে সৃষ্টি করে যেতেন অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান এর মত অনবদ্য সব সৃষ্টি!
তারমত না হলেও বাংলার আরেক নক্ষত্র মাত্র ২১ বছর বয়সেই পরপারে চলে যান। তিনি কবি সুকান্ত (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ছাড়পত্র।
আরেকজন মানুষ কিন্ত পুরো লেখার আর ভাষার রীতিকেই ঢেলে সাজান। চালু করেন চলিত রীতি! তিনি প্রমথ চৌধুরী। অন্যদিকে হাস্যরসাত্মক সাহিত্যে নারায়ণ কিংবা প্রেমেন্দ্র মিত্রকে সবাই ই মনে রাখবে যথাক্রমে তাদের টেনিদা আর ঘনাদার জন্য।
তবে এই পর্যায়ে যদি সত্যজিৎ সাহেবের নাম না লিখি তবে বিশাল ভুল হয়ে যায়! কোন দিক তার অস্বীকার করা যায়? তিনি বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি চরিত্রের স্রষ্টা। একটি হল প্রাতিজনিক গোয়েন্দা ফেলুদা, অন্যটি বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু। তবে তার আরেকটি পরচিচয় না দিলে তার পরিচয় অসম্পুর্ন ই রয়ে যাবে আর তা হল তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে, যাদের মধ্যে অন্যতম ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া “শ্রেষ্ঠ মানব দলিল” (Best Human Documentary) পুরস্কারটি। আর সবচেয়ে বিখ্যাত পুরস্কার হল ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কারটি (অস্কার), যা তিনি সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেন।
উনার পাশাপাশি আরেকজন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার হলেন জহির রায়হান। তার স্তপ জেনোসাইড আর লেট দেয়ার বি লাইট হল তার বিখ্যাত দুটো চলচিত্র আর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হল প্রবন্ধ। উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল বরফগলা নদী, হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন ইত্যাদি।
আর অতি সম্প্রতির উদাহরন দিলে যেই কিছু নাম চলে আসবে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সমরেশ মজুমদার, সুনীল আর হুমায়ূন আহমেদ! বলা যায় বর্তমান জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে এরা তুঙ্গে আছেন। সমরেশ বাবুর সেরা লেখার মধ্যে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, গর্ভধারিণী, সাতকাহন ইত্যাদি আর সুনীল বাবুকে সবাই মনে রাখতে বাধ্য উনার সেই সময়, পুর্ব পশ্চিম, প্রথম আলো, কাকা বাবু সমগ্র ইত্যাদি কালজয়ী লেখার জন্য।
হুমায়ূন আহমেদ এদিক দিয়ে কিছুটা এগিয়ে আছেন অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কারন তিনি বাংলাদেশী মানুষদের পশ্চিম বাংলা বিমুখ করতে একাই লড়েছেন এবং সফলও হয়েছিলেন। তিনি নতুন ধারা সৃষ্টি করেন আর সেটি হল সংলাপ প্রধান সাহিত্য! তার কালজয়ী সৃষ্টি হিমু, মিসির আলী, শুভ্র খুবই জনপ্রিয়তা পেয়ছে আর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প, দেয়াল, বাদশাহ নামদার, নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার ইত্যাদি প্রধান।
পরিশেষে আবারও ক্ষমাপ্রাথি এজন্য যে, এত ছোট আর্টিকেলে বাদ রয়ে গেছে অনেকেরই নাম। নির্মলেন্দু গুন, জসিম উদ্দিন, মীর মোশাররফ, শামসুর রাহমান, শওকত আলী, রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, ফররুখ আহমদ, শওকত ওসমান, আবু ইসহাক, আল মাহমুদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা প্রভৃতি নক্ষত্রসহ অগণিত লেখকগনের নাম। তথ্য প্রদানেও থাকতে পারে ভুল। এই ভুল ধরিয়ে দিলে থাকব কৃতজ্ঞ হয়ে।
বাংলা সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
Reviewed by তৌহিদ আজগর - Tawhid Azgor
on
১:৫২ AM
Rating:
কোন মন্তব্য নেই:
Good books